মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় দুই কিশোরকে পিটিয়ে জখম করেছে কিছু উশৃঙ্খল মাদক সেবনকারী কিশোর ও বখাটে। ঘটনাটি ঘটেছে
উপজেলার পুর্ব হরিপুর জেলে পাড়ার মজুমদার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে শুক্রবার রাতে। বখাটে ও মাদক সেবনকারী এবং বিক্রেতাদের হামলায় যোবায়ের ও নিশাত নামে দুই কিশোর গুরুতর জখম হয়। যোবায়েরকে
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্চায় রাখা হয়েছে বলে তার পরিবার জানায়। মাথায় গুরুতর জখম হয়ে সে মৃত্যুর সাথে লড়ছে বলে তার বড় ভাই মেহেদী জানায়। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে প্রতিনিয়ত বখাটেরা মসজিদের সামনে বাঁশের বৈঠকখানা (আঞ্চলিক ভাষায় মাচাং) বানিয়ে রাতে মাদক বেচাকেনাসহ সেবন করে। মুসল্লিসহ কিশোররা বাধা দিলে বখাটেরা তাতে কর্ণপাত করত না। শুক্রবার রাতে যোবায়ের দলবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে পাশের হাট বাংলাবাজার যায়। রাতে যোবায়ের একা বাড়ি যাওয়ার সময় ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ারা যোবায়েরকে একা পেয়ে অপহরন করে নির্জনে নিয়ে হত্যা করতে বেধড়ক মারে। পরে তার গোঙ্গানী শুনে নিশাত এগিয়ে গেলে তাকেও মারে।
এব্যাপারে আহত যোবায়েরের বাবা অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আবদুস সোবহান বাদী হয়ে ৭ জনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত সাগর (১৬),পঙ্খিরাজ (১৭),প্রসেনজিৎ (১৮),বিশাল চন্দ্র দাশ (১৮),বাসুদেব (৫০)কে আটক করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর দর্জি ৫ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান মামলার অপর অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযোগে আটক প্রসেনজিতের বাবা যুবরাজ জানান হামলা পরবর্তি তার ছেলের নামে মামলা হওয়ার খবর শুনে তিনি ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন।